Showing posts with label দেশের বাহিরে. Show all posts
Showing posts with label দেশের বাহিরে. Show all posts
যে কারণে বিয়ে করতে পারছেন না বিশ্বের ‘সবচেয়ে অভিন্ন’ যমজ!

যে কারণে বিয়ে করতে পারছেন না বিশ্বের ‘সবচেয়ে অভিন্ন’ যমজ!

অস্ট্রেলিয়ার পার্থের অধিবাসী দুই যমজ বোন অ্যানা ডেসিঙ্ক এবং লুসি ডেসিঙ্ক। ২০১২ সাল থেকে এই দুই বোন বেন বায়ার্নের একই সঙ্গে প্রেম করছেন। ছয় বছর প্রেম করার এখন তারা বেনকে বিয়ে করতে চান। তবে এই দুই বোনের ইচ্ছায় বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে দেশটির আইন। কারণ ১৯৬১ সালের বিবাহ আইন অনুসারে বহুবিবাহের অনুমোদন নেই অস্ট্রেলিয়ায়।
৩৩ বছর বয়সী অ্যানা ডেসিঙ্ক এবং লুসি ডেসিঙ্ককে বিশ্বের সবচেয়ে ‘অভিন্ন যমজ’ হিসেবে ধরা হয়। অস্ট্রেলিয়ান টিভি শো-তে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে অ্যানা এবং লুসি ডেসিঙ্ক বলেন, ‘আমাদের একজন পার্টনার আছে, বেন। আমরা একদিন তাকে বিয়ে করতে চাই। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার আইন বলছে, আমরা সেটা করতে পারবো না। এখন আমরা কী করবো?’
দুই বোনের সেই এপিসোডটি এখনো টিভিতে অনএয়ার হয়নি। তবে ইনস্টাগ্রামের তাদের কথোপকথনের কিছু ক্লিপ প্রকাশ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, সেই দুই বোনের বেন একজন ইলেকট্রিক মিস্ত্রী। সে এ দুই বোনের সঙ্গেই থাকে।
প্রেমিকা ক্যান্সারে আক্রান্ত জেনে যা করলো যুবক

প্রেমিকা ক্যান্সারে আক্রান্ত জেনে যা করলো যুবক



একসঙ্গে শুধু গঙ্গায় ঝাঁপ দেওয়াই নয়। ঝাঁপ দেওয়ার আগে একে অন্যকে ওড়না দিয়ে বেঁধে রেখেছিলেন সুজাতা ও অভিষেক। যা দেখে পুলিশের ধারণা, মৃত্যুর আগের মুহূর্তেও যাতে একে অন্যকে ছেড়ে আলাদা না হয়ে যেতে হয়, তাই নিজেদের তারা বেঁধে রেখেছিলেন। আর তার তাতে পুলিশেরও সুবিধা হয়েছে একই সঙ্গে দু’টি মৃতদেহ খুঁজে পেতে।
রিভার ট্র্যাফিক পুলিশ জানায়, একটি ছেলের দেহ গঙ্গায় উপুড় হয়ে ভাসছে খবর পেয়ে সোমবার দুপুরে লঞ্চ নিয়ে তারা পৌঁছে যায় মেটিয়াবুরুজের নেতাজি সুভাষ ডকের কাছে। কিন্তু দেহ তুলতে গিয়ে পুলিশ দেখে উপুড় হয়ে থাকা ছেলেটির দেহের নিচে চিৎ হয়ে ভাসছে একটি মহিলার দেহ। তার পরেই পুলিশ নিশ্চিত হয় দেহ দু’টি গত ১৮ ডিসেম্বর গঙ্গায় ঝাঁপ দেওয়া সুজাতা বাজপেয়ী এবং অভিষেক সাউয়ের।
তদন্তকারীরা জানান, দেহ উদ্ধারের সময়ে তারা দেখেন একজনের কোমরের সঙ্গে অপরজনের কোমর ওড়না দিয়ে বাঁধা।
সোমবার লাশ উদ্ধারের পর এক পুলিশকর্মী জানান, সাধারণত দু’জন একসঙ্গে ঝাঁপ দিলে দেহ এক সঙ্গে কখনওই পাওয়া যায় না। এরা নিজেদের বেঁধে নিয়েছিলেন বলেই এক সঙ্গে দু’জনের দেহ উদ্ধার হল।
সাম্প্রতিক সময়ে এভাবে বাঁধা অবস্থায় গঙ্গা থেকে কোনও যুগলের দেহ উদ্ধারের ঘটনা ঘটেনি। কয়েক বছর আগে বাগুইআটি থানার কেষ্টপুর এলাকায় এক যুগলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল।
১৮ তারিখ হাওড়াগামী লঞ্চ থেকে গঙ্গায় ঝাঁপ দেয় ওই যুগল। উত্তর বন্দর থানার পুলিশ পরে লঞ্চ থেকে সুজাতার ব্যাগটি উদ্ধার করে। যার মধ্যে মেলে বেশ কিছু কাগজপত্র ও প্রেসক্রিপশন। ওই প্রেসক্রিপশনগুলো থেকেই জানা যায় সুজাতার ক্যানসার আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা। সামনে আসে সুজাতা ও অভিষেকের প্রেমের সম্পর্কের কথাও।
এরপরই তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, সুজাতা মস্তিষ্কের ক্যানসারে ভুগছিলেন। কিন্তু ক্যানসার এমন পর্যায়ে ছিল যে চিকিৎসাতেও আর সারবে না বলেই জানতে পেরেছিলেন সুজাতা ও তাঁর বন্ধু অভিষেক। একসঙ্গে থাকা সম্ভব নয় জেনেই দু’জনে ওই দিন বাড়ি থেকে বেরোন এবং লঞ্চে উঠে ঝাঁপ মারেন। এর পর থেকেই দু’জনের খোঁজে একাধিক বার তল্লাশি চলে গঙ্গায়। শেষে সোমবার উদ্ধার হয় দু’টি দেহ।
ধুনটে পুকুরে বিষ প্রয়োগে মাছ নিধন

ধুনটে পুকুরে বিষ প্রয়োগে মাছ নিধন


জিল্লুর রহমান, ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার ধুনটে দুর্বৃত্তের বিষ প্রয়োগে পুকুরের মাছ নিধন হয়েছে। এতে প্রায় মাছ চাষী স্বপন জোয়াদারের প্রায় ২ লক্ষ টাকা ক্ষতি সাধন হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কালেরপাড়া ইউনিয়নের কান্তনগর গ্রামে।
মাছ চাষী স্বপন জোয়াদার বলেন, আমি ২ বছর পূর্বে ৯০ শতক জমিতে পুকুর খনন করে এনজিও থেকে ঋন নিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করে পরিবার নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। শনিবার দিবাগত রাতে কে বা কাহারা আমার পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে। রবিবার সকালে মাছের খাদ্য দেওয়ার জন্য পুকুরে গিয়ে দেখতে পাই সব মাছ মরে ভেসে উঠেছে। এতে আমারা প্রায় ২ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে। থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
ধুনট থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) ইসমাইল হোসেন জানান, পুকুরে বিষ প্রয়োগের কোন অভিযোগ পাই নাই। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আাইনগত ব্যবস্থ্যা নেওয়া হবে।
অজগরের পেট চিরে নারীর মরদেহ উদ্ধার

অজগরের পেট চিরে নারীর মরদেহ উদ্ধার

ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি প্রদেশের মুনা দ্বীপে অজগরের পেট থেকে ওয়া থিবা (৫৪) নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার এই ঘটনা ঘটে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির কাছের সবজি ক্ষেতে গিয়ে নিখোঁজ হন ওই নারী। এর কয়েক ঘণ্টা পরই গ্রামের মানুষজন তাকে খুঁজতে শুরু করেন। পরের দিন তারা ক্ষেতের কাছে জঙ্গলে ওই নারীর পায়ের স্যান্ডেল এবং হাতের ছুরিটি পড়ে থাকতে দেখেন। আর দেখা যায়, সেগুলোর ৩০ মিটার দূরে শুয়ে আছে পেট মোটা বিশাল এক ডোরাকাটা অজগর সাপ।
স্থানীয় পুলিশ প্রধান বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, অজগরটিকে দেখে গ্রামবাসীর সন্দেহ হয়, সাপটিই হয়তো ওয়া থিবাকে গিলে ফেলেছে। তারা সাপটিকে মেরে জঙ্গলের বাইরে নিয়ে যান। পরে অজগরের পেট চিরে তার ভেতর ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এই ঘটনাও ছবি ও ফুটেজে দেখা গেছে, অজগরের পেট চিরে পূর্ণবয়স্ক একটি নারীর অক্ষত মরদেহ বের করে আনছেন কয়েকজন।
তবে এটিই প্রথম নয়, গত বছরের মার্চেও সুলাওয়েসিতে এক ব্যক্তিকে খেয়ে ফেলে একটি অজগর।  ২৫ বছরের বছর বয়সী এক যুবক বাড়ির পাশের পাম বাগানে যাওয়ার পর এমন করুণ পরিণতির সম্মুখীন হতে হয়েছিল তাকে।
এছাড়াও ২০০২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার একটি পাহাড়ি অজগর (রক পাইথন) ১০ বছরের এক বালককে গিলে খায়।
ইরানে পুরুষ সেজে ছদ্মবেশে ফুটবলের মাঠে মেয়েরা

ইরানে পুরুষ সেজে ছদ্মবেশে ফুটবলের মাঠে মেয়েরা




আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ফুটবল ম্যাচ দেখতে অভিনব পদ্ধতি অবলম্বন করে ব্যাপক নজর কেড়েছেন ইরানের বেশ কজন নারী। মুখে নকল দাড়ি গোঁফ, মাথায় পরচুলা লাগিয়ে পুরুষদের পোশাক পরে প্রিয় দল পার্সপোলিসের পতাকা গায়ে জড়িয়ে তারা খেলা দেখতে গিয়েছিলেন।
একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে গ্যালারিতে বসে আছেন তরুণ কয়েকজন ছেলে। খুব মনোযোগ দিয়ে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে না দেখলে তারা যে নারী, তা বোঝা কঠিন, সেটি এই মেয়েরাই প্রমাণ করেছে।
তেহরানের আযাদি স্টেডিয়ামে গত শুক্রবার ঘটেছে ঘটনাটি। এই মেয়েদের একজন স্থানীয় একটি কাগজে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন তিনি এ নিয়ে তিনবার এভাবে মাঠে ঢুকে খেলা দেখেছেন।
তিনি বলছিলেন, “গুগুলে গিয়ে টিউটোরিয়াল দেখে মেকআপের নানা রকম কায়দা শিখেছি ছদ্মবেশ নেয়ার জন্য।” তিনি জানান এর আগে একবার মাঠে খেলে দেখতে গেলে তাকে নিরাপত্তা কর্মীরা ঢুকতে দেয়নি। তারপরে তিনি এমন বুদ্ধি বের করেছেন এবং অন্যদেরও উৎসাহিত করেছেন।

কঠোর শরীয়া আইন দ্বারা পরিচালিত রাষ্ট্র ব্যবস্থার দেশ ইরানে নারীদের মাঠে গিয়ে খেলা দেখা আইনত নিষিদ্ধ না হলেও এক অর্থে স্বীকৃত নয়। নারীদের মাঠে না ঢোকাই সেখানে স্বাভাবিক। মাঠে যাওয়ার পর ঢুকতে দেয়া হয়নি এমন ঘটনা রয়েছে।
এমনকি মাঠে খেলা দেখতে যাওয়ার জন্য শাস্তির মুখেও পড়তে হয়েছে নারীদের। ২০১৪ সালে একজন ব্রিটিশ ইরানি অ্যাক্টিভিষ্ট মাঠে ঢুকে পুরুষদের ভলিবল ম্যাচ দেখার চেষ্টা করলে তাকে আটক করা হয়। ২০১৮ সালে মাঠে ঢুকে খেলা দেখার চেষ্টা করার কারণে ৩৫ জন নারীকে আটক করা হয়। তবে ১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামি বিপ্লবের আগে নারীরা মাঠে গিয়ে খেলা দেখতে পারতেন।
এই ফেব্রুয়ারিতে অবশ্য একবার নারীদের মাঠে ঢোকার অনুমতি মিলেছিল। তবে তাদের পুরুষদের থেকে আলাদা বসতে হয়েছিলো।
ছদ্মবেশি ঐ নারীকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিলো আটক হওয়ার কোন ভয় তার মধ্যে ছিল কিনা?
এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “কেন আমি চিন্তিত হবো? মাঠে গিয়ে আমি কোন অপরাধ করিনি। আইনে নারীর মাঠে যাওয়াকে অপরাধ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়নি। তবে কয়েকজন নারীকে এর আগে তারা ধরেছে। তাদের মাঠে আর যাবে না বলে মুচলেকাও দিতে হয়েছে।”
কিন্তু ঝুঁকি নিয়েও মাঠে যাওয়ার পর যে ছবি তারা প্রকাশ করেছেন শুরুতে তা নিজেদের মধ্যেই ছিল। পরে সেই ছবি ছড়িয়ে পড়লে অনেকেই তাদের বাহবা জানিয়েছেন।
কিন্তু ধিক্কারও কম জোটেনি। কেন তারা মাঠে গিয়ে মেয়েদের খেলা দেখছেন না, পুরুষদের ম্যাচ কেন? এমন প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ।
নিরাপত্তা রক্ষীদের চোখ কিভাবে ফাঁকি দিলেন সেই প্রশ্নের জবাবে আরেকজন বলেন, “আমরা দুটি গেট দিয়ে দল করে যখন ঢুকেছি তখন কেউ টেরই পায়নি। তবে স্টেডিয়ামে বসার পর অবশ্য অনেকেই বুঝে গিয়েছিলেন। কিন্তু মজার ব্যাপার হল তারা ম্যাচ জুড়ে আমাদের দিকে কোন মন্তব্য ছুড়ে দেননি। বরং কেউ কেউ এসে আমাদের সাথে সেলফি তুলেছেন”
ইরানে যতদিন পর্যন্ত মেয়েদের মাঠে গিয়ে খেলা দেখা স্বীকৃত না হবে ততদিন পর্যন্ত এই কাজ চালিয়ে যাবেন বলে এই মেয়েরা জানান।
ইরানে প্রকাশ্যে মাথার হিজাব খুলে ফেলার জন্যে কিছুদিন আগে নারীদের আটক করা ঘটনা ঘটেছে।
মাদুরোকে একঘরে করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

মাদুরোকে একঘরে করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

মাদুরোকে একঘরে করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র
ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে একঘরে করতে শক্ত পদক্ষেপ নিতে দক্ষিণ আমেরিকার নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ভেনেজুয়েলায় ক্রমবর্ধমান মানবিক সঙ্কট ও রাজনৈতিক দমনের বিষয়ে লিমা গ্রুপ অব নেশন যে নিন্দা জানিয়েছে তাতে সমর্থনও দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
শনিবার পেরুর রাজধানী লিমায় এক শীর্ষ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বলেছেন, মে মাসের ২০ তারিখে প্রেসিডেন্ট নির্বানের প্রস্তুতি রেখে এগোচ্ছে ভেনেজুয়েলা। এ নির্বাচনকে মাদুরোর শাসন বৈধকরণের একটা চেষ্টা বলে আখ্যায়িত করেছেন অনেক আঞ্চলিক নেতা। তাই মাদুরোর বিষয়ে এখনই ব্যবস্থা নিতে হবে।
লিমা গ্রুপ অব নেশনের রাষ্ট্রপ্রধানদের দেয়া কোনো বিবৃতিতে এই প্রথমবারের মতো সমর্থন জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ওই বিবৃতিতে রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্ত করতে ও স্বচ্ছ নির্বাচন আয়োজনে মাদুরোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
এক সময়ের সমৃদ্ধশালী ওপেকের সদস্যরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলায় অর্থনৈতিক ধসের পর প্রায় ৩০ লাখ মানুষ দেশ ছেড়েছেন। তারপরও আগামী মাসের নির্বাচনে মাদুরো জিতবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সরকারি সমর্থকদের সঙ্গে মিলে ভেনেজুয়েলার দুই শক্তিশালী বিরোধীদলের নেতাকে নির্বাচন থেকে দুরে রাখা হয়েছে।
পেন্স বলেন, ‘ভেনেজুয়েলার এই অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র চুপ করে বসে থাকতে পারে না। আজ যে স্বাধীন রাষ্ট্রগুলো এখানে এক কাতারে দাঁড়িয়েছে, মাদুরোকে একঘরে করতে তাদের প্রত্যেকেরই এখনই পদক্ষেপ নেয়া উচিৎ। আমাদের সবার উচিৎ ভেনেজুয়েলায় দুর্ভোগের শিকার ভাই-বোনদের পাশে দাঁড়ানো।’
লিমা গ্রুপের বিবৃতিতে ভেনেজুয়েলা থেকে অভিবাসীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়ে সতর্ক করে বিভিন্ন দেশের সরকারকে দেশটিতে গণতন্ত্র ফেরাতে জোরদার পদক্ষেপের আহ্বান জানানো হয়েছে।
দুর্নীতি এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের ওয়াশিংটন ইতোমধ্যে মাদুরো প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কয়েক কর্মকর্তাকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় এনেছে।
সূত্র : রয়টার্স।
সিরিয়ায় হামলা : তোপের মুখে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

সিরিয়ায় হামলা : তোপের মুখে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

সিরিয়ায় হামলা : তোপের মুখে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী
পার্লােমেন্টের অনুমতি ছাড়াই সিরিয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে সামরিক হামলায় অংশ নেয়ার জেরে দেশের ভেতরে বিরোধীদের ব্যাপক তোপের মুখে পড়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। শনিবার রাতে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্সের সঙ্গে সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্রাগার লক্ষ্য করে একযোগে চালানো হামলায় অংশ নেয় ব্রিটেন। দেশটির সেনাবাহিনীকে এ হামলায় অংশ নেয়ার নির্দেশ দেয়ায় সংসদ সদস্যদের তীব্র ক্ষোভের মুখোমুখি হয়েছেন থেরেসা।
সিরিয়ার পশ্চিমাঞ্চলের হোমস থেকে ১৫ মাইল দূরে একটি সেনাঘাঁটিতে আরএএফ টর্নেডো জিআর৪ যুদ্ধবিমান মোতায়েনের কয়েক ঘণ্টা পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে একটি বিবৃতি দেন। হোমসের ওই অঞ্চলে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সরকারের রাসায়নিক অস্ত্রাগার রয়েছে বলে দাবি করেছে ব্রিটেন।
বিবৃতিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানবিক কারণে সিরিয়া হামলায় অংশ নিয়েছে তার দেশ। ডাউনিং স্ট্রিটে রাত ২টার দিকে সামরিক উপদেষ্টা থেরেসা মে'কে হামলার ব্যাপারে হালনাগাদ তথ্য অবগত করেন। এসময় থেরেসা মে বলেন, তিনি আত্মবিশ্বাসী ছিলেন যে, তারা এই অভিযানে সফল হবেন।
ডাউনিং স্ট্রিটের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, থেরেসা মে ফরাসী প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। এসময় তারা সিরিয়া হামলায় সফল হয়েছেন বলে ঐক্যমতে পৌঁছেছেন।
সিরিয়া হামলায় সফলতা দাবি করলেও দেশের ভেতরে বিরোধী দলীয় ব্যাপক সমালোচনার মুখে রয়েছে থেরেসা। লেবার দলীয় নেতা জেরেমি করবিন অভিযোগ করে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে পার্লামেন্টের অনুমোদন নেয়ার পরিবর্তে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অনুস্মরণ করেছেন।
us-missile.jpg
তিনি বলেন, ‘বোমা কখনো জীবন বাঁচাতে অথবা শান্তি বয়ে আনতে পারে না। পরবর্তীতে আরো উত্তেজনা ছড়িয়ে দিতে পারে এ ধরনের প্রশ্নবিদ্ধ পদক্ষেপ। মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জেমস ম্যাটিস স্বীকার করেছেন, ধ্বংসাত্মক সংঘাতে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার হওয়ায় ইতোমধ্যে যুদ্ধাপরাধের মতো আলামত পাওয়া গেছে।
তবে লেবার দলীয় অনেক সংসদ সদস্য মনে করেন এই হামলায় অংশ নেয়াটা ছিল যৌক্তিক। কিন্তু তারা প্রশ্ন তুলে বলেছেন, কেন থেরেসা মে সোমবার পার্লামেন্টের অধিবেশন না বসা পর্যন্ত অপেক্ষা করলেন না।
লেবার দলীয় আরেক এমপি জন উডকক বলেছেন, এটা ঠিক যে সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট আসাদের রাসায়নিক অস্ত্রাগার ধ্বংস করার লক্ষ্যে যুক্তরাজ্য আমাদের মিত্রদের সঙ্গে অভিযানে যোগ দিয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’কে সংসদে অবশ্যই ব্যাখ্যা করতে হবে যে, কেন তিনি মনে করেন সিরীয় অভিযানে অংশ নেয়ার জন্য পার্লামেন্টে ভোটাভুটির দরকার নেই।
us-missile.jpg
স্কটিশ ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা সার্জিওন সিরিয়া হামলায় অংশ নেয়া ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর নিন্দা জানিয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্টে ঘোড় দৌড়ে অংশ নেয়ার আগে আমাদের হাউস অব কমন্সের অনুমোদন নেয়ার বিকল্প ছিল না।
ব্রিটেনের গ্রিন পার্টির দুই নেতা ক্যারোলিন লুকাস ও জোনাথন বার্টলি বলেছেন, থেরেসা মে সংসদীয় গণতন্ত্রকে পদদলিত করেছেন। সোমবার পার্লামেন্টে ভোটাভুটি আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
এদিকে, সিরিয়ায় ইঙ্গ-মার্কিন-ফরাসী জোটের ১২ ঘণ্টার ঝটিকা অভিযান শেষ হলেও রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার হলে আবারও একই ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন থেরেসা মে। তবে ফের যদি তিনি সিরিয়ায় অভিযানে অংশ নেন তাহলে পার্লামেন্টের অনুমোদন নেয়া হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বলছে, সোমবার পার্লামেন্টের অধিবেশনে ভাষণ দেবেন থেরেসা মে। এসময় এমপিদের প্রশ্নের জবাব দেবেন তিনি।
সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান।
আজ নববর্ষ পালিত হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে

আজ নববর্ষ পালিত হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে

আজ নববর্ষ পালিত হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে
পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিরা আজ বাংলা নববর্ষ পালন করেছেন। বিশেষ এই দিনটি তারা শুরু করেন গঙ্গাস্নান ও নতুন জামা-কাপড় পড়ে। এরপর সারাদিন নানা অনুষ্ঠান, খাওয়া-দাওয়া, ঘোরাফেরা ও আতিথিয়তার মধ্যে দিয়ে অতিবাহিত করেন। হালখাতার মাধ্যমে নতুন বছর শুরু করেন ব্যবসায়ীরা ৷
পয়লা বৈশাখের আগের রাত থেকেই পুজোর ডালি নিয়ে মন্দিরে হাজির হন ভক্তরা। কালীঘাট, দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে এ দিন উল্লেখযোগ্য ভিড় চোখে পড়ে। সারাদিন চলে খাওয়া-দাওয়া ও দিনভর আড্ডা ৷ রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে আয়োজন করা হয় বৈশাখী মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। উত্তর ২৪ পরগণার গোবরডাঙার যমুনা নদীর তীরে এ দিন শুরু হয় শস্য মেলা, যা গোষ্ঠবিহারী মেলা নামেও পরিচিত ৷
আজ বাঙালিদের রান্নার অন্যতম মেনু ইলিশ মাছ। মাছের বাজারের লম্বা লাইন ও চড়া দাম হওয়া সত্তেও ইলিশ তো আজ খেতেই হবে তাদের। নতুন জামা-কাপড় পড়ে বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি গিয়ে বড়দের প্রণাম, আড্ডা, খাওয়া-দাওয়ার মধ্যে দিয়ে তারা পালন করেন এই দিনটি।
আজ সকালে যাদবপুর সুকান্ত সেতু থেকে বর্ষবরণ উপলক্ষে এক বড় মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। শোভাযাত্রায় হাজার হাজার বাঙালি অংশ নিয়েছিলেন। সেখানে কেউবা মুখোশ পড়ে আবার কেউ কেউ বর্ণমালা ও বাঘ-ভাল্লুক আকাঁ ফেস্টুন নিয়ে হেটেঁছেন।
বীরভূমের বোলপুরের শান্তিনিকেতনে আজ দিনভর বর্ষবরণে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের তৈরি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা অংশ নিচ্ছেন। সকালে কলা ভবনের সামনে সমবেত প্রার্থনার মধ্যদিয়ে শান্তিনিকেতনের বর্ষবরণের আয়োজন শুরু হয়। সন্ধ্যায় পথ-নাটক ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে শেষ হবে দিনের আয়োজন।
‘হারানো মর্যাদা ফিরে পেতেই ইঙ্গ-মার্কিন-ফরাসী হামলা’

‘হারানো মর্যাদা ফিরে পেতেই ইঙ্গ-মার্কিন-ফরাসী হামলা’

‘হারানো মর্যাদা ফিরে পেতেই ইঙ্গ-মার্কিন-ফরাসী হামলা’
সিরিয়ায় ভোরে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স এবং ব্রিটিশ সামরিক বাহিনীর অভিযানের লক্ষ্য ছিল ওয়াশিংটনের ‘হারানো মর্যাদা’ ফিরে পাওয়া। তিন দেশের সামরিক হামলার পর ইরানের পার্লামেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক কমিশনের চেয়ারম্যান আলাদ্দিন বোরোজার্দি এ মন্তব্য করেছেন।
সিরিয়ায় বেসামরিক নাগরিকদের ওপর গত সপ্তাহে আসাদ বাহিনীর রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ এনে শনিবার দেশটিতে হামলা চালায় ইঙ্গ-মার্কিন-ফরাসী জোট।

ইরানের পার্লামেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক কমিশনের এ চেয়ারম্যান বলেন, ‘সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং ফ্রান্সের আগ্রাসনের নিন্দা করছে ইরান।’ তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের হারানো গৌরব রক্ষার লক্ষ্যেই সিরিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে পশ্চিমা জোট।’
আলাদ্দিন বোরোজার্দি বলেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী তিন সদস্য এই আগ্রাসন চালিয়েছে। তবে এটা লজ্জাজনক যে, বিশ্ব নিরাপত্তার ধারক-বাহকের দাবিকারীরাই বৈশ্বিক নিরাপত্তাহীনতা ও সংকট তৈরি করেছে।
গত সপ্তাহে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের কাছে দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সমর্থিত বাহিনী বেসামরিক নাগরিকদের ওপর রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ এনে শনিবার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে ইঙ্গ-মার্কিন-ফরাসী সামরিক বাহিনী।
সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্রাগার ধ্বংস করে দেয়ার দাবি করে অভিযানকে সফল বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একই সঙ্গে নিষিদ্ধ অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধে এই অভিযানকে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে প্রথম পদক্ষেপ বলে দাবি করেছেন তিনি। নিউ ইয়র্ক টাইমস বলছে, এক রাতের ইঙ্গ-মার্কিন-ফরাসী হামলা তিনটি লক্ষ্যে আঘাত হেনেছে।
গত সপ্তাহে দৌমায় রাসায়নিক হামলার ব্যাপারে হোয়াইট হাউসের কূটনৈতিক রুম থেকে টেলিভিশনে ভাষণ দেন ট্রাম্প। এসময় তিনি বলেন, এটা একজন মানুষের কর্ম নয়। তারা ভয়াবহ অপরাধ করছে।
সিরিয়ায় পশ্চিমা জোটের হামলা শুরুর ৯০ মিনিটের মাথায় যুক্তরাষ্ট্রকে ওই হামলার জন্য ভয়াবহ পরিণতি বহন করতে হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছে রাশিয়া।
সূত্র : তাসনিম নিউজ অ্যাজেন্সি।